সংশ্লিষ্ট অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার একটি বৈদ্যুতিক লাইনের ত্রুটি ও উন্নয়ন কাজের জন্য সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হবে এমন একটি ঘোষণা দেওয়া ছিল। এমনকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর (মেয়র) কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু গতকাল আনুমানিক ১২ টার দিকে অনাকাঙ্খিতভাবে অফিসে প্রবেশ করে ডিজিএম এর কক্ষে গিয়ে তাকে গালিগালাজ শুরু করেন ও এক পর্যায়ে অফিসে থাকা ঝাড়ু
দিয়ে তাকে মারার জন্য উদ্যত হন। পরে অফিসের অন্য কর্মকর্তা ও ওই সময়ে অফিসে থাকা একজন গ্রাহক মেয়রকে শান্ত করতে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করেন। এ সময় ডিজিএম অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে নিচে চলে যান এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনার কথা জানান।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম আবুল কালাম অভিযোগ করেন, সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগে বিঘ্ন ঘটবে এমন একটি ঘোষণা আমরা দিয়েছি এবং উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট দফতরসহ অন্যান্য স্থানে মাইকিং করা হয়েছে। তারপরও মেয়র আমার অফিসে উপস্থিত হয়ে আমাকে গালিগালাজ শুরু করেন এবং আমাকে ঝাড়ু দিয়ে মারপিট করার চেষ্টা চালান।
এ বিষয়ে কোনও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডিজিএম বলেন, এটা আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়। ব্যাক্তিগতভাবে কোনও পদক্ষেপ নিলে কি কেন্দুয়ায় আমি থাকতে পারবো, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান জানান, আমাকে গতকাল বিকালে পল্লী বিদ্যুতের একজন এজিএম ফোন করে ঝামেলার কথা জানালে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো লাগবে কিনা জানতে চাই, তখন তিনি বলেন প্রয়োজন হলে জানাবেন। পরে আর কিছু জানায়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কেন্দুয়া পৌর সভার মেয়র আসাদুল হক ভূইয়ারর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিনা নোটিশে বিদ্যুৎ না থাকায় সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে, তেমন কিছু না।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. জাকির হোসেন বলেন, মেয়র সাহেব অফিসে গিয়ে ডিজিএমের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে পারেন না। বিষয়টি আরইবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় এমপি বিষয়টির সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে মাইকিং বা নোটিশ প্রদানের বিষয়ে সত্যতা জানতে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈন খন্দকারকে মোবাইলফোনে পাওয়া যায়নি।