গৃহবধূর ঘর থেকে আটক ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষণ মামলায় কারাগারে!





ছাত্রলীগ নেতা হিরনঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মহিদুল হাসান হিরনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটকের পর ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে, শনিবার রাতে তাকে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের এক গৃহবধূর ঘর থেকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনার পর ওই গৃহবধূ ছাত্রলীগ নেতা হিরনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছে থানায়।

স্থানীয়রা জানান, ওই গৃহবধূর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ নেতা হিরনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চলছিল। একবার তারা দু’জনে পালিয়ে গেলে ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ করে। পরে ছাত্রলীগ নেতা হিরন ওই গৃহবধূকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দিয়ে ঢাকায় চলে যায়। বিষয়টির সাময়িক সমাধান পেয়ে গৃহবধূর পরিবার হিরনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা থেকে বিরত থাকে।

এর কিছু দিন পর হিরন আবার এলাকায় ফিরে ওই গৃহবধূর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। শনিবার রাতে সে অনৈতিক কাজের জন্য গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে যান। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে মারধর করে। পরে গভীর রাতে পুলিশ গিয়ে হিরনসহ ওই গৃহবধূকে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর ঘটনার দৃশ্যপট পাল্টায়। ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে হিরনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে ওই নারী দাবি করেন, তার স্বামী ঢাকায় চাকরি করে। অভিযুক্ত হিরন বিভিন্ন সময় তাকে প্রেম-ভালোবাসার প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতো। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে প্রবেশ করে হিরন তাকে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে হিরনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন জানান, গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী। তার স্বামী রয়েছে। ওই গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ করায় হিরনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঝালকাঠি সিভিল সার্জন অফিসে ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।