বিপ্লব সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশ লাইজারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনসহ জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত সংগঠনসহ অন্যান্য সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১৫ দফা দাবিতে এ ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। আর ১১ দফা দাবি জানিয়েছে আরেকটি সংগঠন।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৬টা থেকেই আমরা নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছি। যে জাহাজ যেখানে আছে সেগুলো সেখানেই নোঙর করে ফেলেছে। এ ধর্মঘটে মালবাহী কোনও নৌযান চলাচল করবে না। তবে যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়নি।’
তিনি জানান, লঞ্চ চলাচল করলেও লঞ্চের শ্রমিকরাও এই আন্দোলনের আওতাভুক্ত। এ আন্দোলনে অর্জিত সুবিধা তারাও পাবেন। চাঁদপুর থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে প্রায় ৩০টি লঞ্চ চলাচল করে। ঢাকা-চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালিসহ সারাদেশেই ধর্মঘটে লঞ্চ চলাচল করবে।
নৌযান শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের ১৫ দফা দাবির প্রচারপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের ২৭ নভেম্বর চুক্তি এবং চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে খাদ্য ভাতা প্রদান কার্যক্রম এবং ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে লিখিত চুক্তি কার্যকর না হওয়ায় শ্রমিকরা করোনা চলা কালীন চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শ্রমিক সমাজ করোনা মহামারিতে জাহাজ চালিয়ে দেশের ৮০ ভাগ পণ্য পরিবহন সচল রেখেছে। নৌপরিবহন শ্রমিকদের খাদ্য ভাতা, স্বাস্থ্য-সুরক্ষা সরঞ্জাম, নিয়োগপত্র, সার্ভিস বুক ও পরিচয়পত্র প্রদান, মাস্টার/ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়রানি বন্ধ, জাহাজ সার্ভে রেজিস্ট্রেশনে দুর্নীতি বন্ধ, কোম্পানির খরচে শ্রমিকের পারাপার ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে সব ধরনের জাহাজ রাখার মুরিং বয়া, নিরাপদ স্থান নিশ্চিতকরণ, মেরিন ও শ্রম আইনে ও শিল্প বিরোধী আইন স্থগিতসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিট থেকে দেশব্যাপী লাগাতার কর্মবিরতি পালন করা হবে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘোষণা ও চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পর এক বছর হতে চললেও কোনও দাবিই মালিকপক্ষ কার্যকর করেনি। এমনকি করোনাকালে নৌযান শ্রমিকদের প্রণোদনা থেকেও বঞ্চিত রাখা হয়েছে। নৌ প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করলে শ্রমিকরা প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হতো না।