দুই ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে ককটেল হামলা, গাড়িচালক আহত

চট্টগ্রাম


ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোটের খবর পেয়ে কেন্দ্র পরিদর্শনে যাওয়া ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে ককটেল হামলা চালিয়েছেন দুর্বত্তরা। মঙ্গলবার (২০ মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নজিবুন্নেসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
একই দিন লোহাগাড়ার আমিরাবাদ ইউনিয়নের আরেকটি কেন্দ্রেও ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। উত্তর আমিরাবাদ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘটানো এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। অন্যদিকে একই ইউনিয়নের আমিরাবাদ ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের আমিরাবাদ সুফিয়া আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নজিবুন্নেসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাবুদ্দিন ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুস্সাফার অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার নীলুফার ইয়াসমিনের নেতৃত্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। এসময় মহিবুল্লাহ নামে একজনকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। আটক ব্যক্তি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অনুসারী ছিল। পরে তার পক্ষের লোকজনই ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রকৃত পক্ষে কে বা কারা এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তা নিশ্চিত হতে পারেনি প্রশাসন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঘটনার শিকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, নজিবুন্নেসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে খবর পেয়ে আমি ওই কেন্দ্রে যাই। এ সময় আমার গাড়িকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আমার গাড়ি চালক গুরুতর আহত হয়েছেন।
উত্তর আমিরাবাদ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আমাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে এই ঘটনায় আমাদের কেউ হতাহত হয়নি। ককটেলটি আমাদের গাড়িতে সরাসরি আঘাত করেনি। এ কারণেই আমরা বেঁচে যাই।