১৫ দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জে নৌযান শ্রমিকদের দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি চলছে

111

 

নৌযান শ্রমিক কর্মচারীদের খাদ্যভাতা নির্ধারণ করে চলতি বছরের মার্চ থেকে কার্যকর করাসহ ১৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছে নারায়ণগঞ্জের নৌযান শ্রমিকরা। বুধবার (২১ অক্টোবর) সকালে কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে নারায়ণগঞ্জের ৫ নং ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কর্মবিরতির সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

এদিকে এই কর্মবিরতির কারণে নারায়ণগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও বালু নদীতে সব ধরনের পণ্যবাহী ও বালুবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে নারায়ণগঞ্জ থেকে ৭টি রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল চালু রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নৌ নিট্রা বিভাগের সহকারী পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য। তিনি জানান, পণ্য ও বালুবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলেও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল চালু রয়েছে।

নৌযান শ্রমিকদের ১৫ দফা দাবিগুলোর অন্যতম হলো: নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারীদের খাদ্য ভাতা নির্ধারণ করে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে কার্যকর করতে হবে। নৌ আইন মেনে ডব্লিউটিসি সিরিয়াল অনুযায়ী চট্টগ্রাম সমুদ্রগামী সব লাইটারেজ জাহাজ চলাচল করতে হবে। মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, সার্ভিসবুক দিতে হবে এবং কথায় কথায় কোনও শ্রমিকের চাকরিচ্যুতি চলবে না ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জাহাজ দুর্ঘটনায় পড়লে তার দায় মাস্টারদেরকে দেওয়া যাবে না। জাহাজে শ্রমিকদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। নৌযানে কাগজপত্র দেখার নামে নৌ প্রশাসনের হয়রানি জুলুম, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা বন্ধ করতে হবে। ইনল্যান্ড মাস্টার ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় ও ডিপিডিসি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সব প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে এবং কোর্স চলাকালীন নৌযান থেকে শ্রমিকদের ছুটি বাধ্যতামূলক দিতে হবে। নৌযান শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য দাতব্য চিকিৎসালয় ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করতে হবে। কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নৌযান শ্রমিক কর্মচারীদের ১২ লাখ টাকা মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকার কর্তৃক কল্যাণ তহবিল অর্থ প্রাপ্তির বিষয়টি সহজ ব্যবস্থা করতে হবে। ভারতগামী নৌযান শ্রমিকদের লোকাল এজেন্টের মাধ্যমে ল্যান্ডিং পাশ, সার্ভিস ভিসা ও জাহাজে ফ্রিজিং ব্যবস্থা না থাকায় শ্রমিকদের সুবিধামতো স্থানে দৈনন্দিন বাজারঘাট করার জন্য পারাপারের নৌকার ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন পয়েন্টে নদীপথে ডাকাতি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। নৌপথে ড্রেজিং ও পর্যাপ্ত বয়াবাতি স্থাপন করতে হবে। ৮ ঘণ্টার অধিক কাজের জন্য ওভারটাইম হিসেব করে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হবে। ঈদের আগে ও ১ মে শ্রমিক দিবসে নৌযান শ্রমিকদের ছুটি দিতে হবে।