জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান বিএনপি প্রার্থীর

সুনামগঞ্জজামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নূরুল হক আফিন্দী। বুধবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এই ঘোষণা দেন তিনি। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজির হোসেনের ষোলঘর এলাকার নিজ বাসায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ১৩টি ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের মনোনীত এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মেরে ব্যালটপেপার দিয়ে ভোটের বাক্স ভর্তি করে। উপজেলার ভিমখালী কেন্দ্রে পরাজয় নিশ্চিত জেনে কেন্দ্রে ভোট গণনা না করে বাক্স উপজেলা সদরে নিয়ে এসে নৌকায় সিল মারা হয়। লম্বা বাঁক কেন্দ্রে ১০টি বই বাইরে নিয়ে সিল মারেন আওয়ামী লীগ কর্মীরা।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অনেক কেন্দ্র দখল করে নৌকায় জাল ভোট দেন। এছাড়া, ফেনারবাঁক কেন্দ্র দখল করে নৌকায় সিল মারা হয়।

তিনি বলেন, ভোটের দিন এসব অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তাৎক্ষণিক নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভোটের ফলাফল প্রত্যাখান করেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজির হোসেন, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান বাবলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাব উদ্দিন, ফেনারবাঁক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তৌফিক চৌধুরী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, জামালগঞ্জে উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদের মৃত্যুতে পদ শূন্য হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার উপনির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ৩৭ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন প্রয়াত ইউসুফ আল আল আজাদের ছেলে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইকবাল আল আজাদ। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপির নূরুল হক আফিন্দী পান ১৬ হাজার ৮৯০ ভোট।