নিহতের পিতা মো. আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামী ইদ্রিসের সঙ্গে দীর্ঘদিন অন্য একটি মেয়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চলে আসছিল। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমার মেয়েকে প্রায়ই মারধর করা হতো। সকালে প্রিয়া মোবাইল ফোনে আমাকে তার স্বামীর অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ নিয়ে তার ওপর হওয়া নির্যাতনের বিষয়ে ফোনে জানায়। এসব ঘটনা আমাকে ফোনে জানানোর সময় তার স্বামী শুনে ফেলে। এরপর তাকে স্বামী এবং পরিবারের অন্যরা মিলে মারধর করে। একপর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ সময় মারা গেছে ভেবে তার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয় এবং চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এখন পর্যন্ত থানায় এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানান তিনি।