গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩




গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। কাশিয়ানী, মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার গোপিনাথপুর তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার এসব দুর্ঘটনা ঘটে।


পুলিশ জানায়, কাশিয়ানীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শাহিন মোল্লা (৩০) নামে এক প্রাইভেটকার চালক নিহত হন। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের দুই যাত্রী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার ধূসর ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিন মোল্লা ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আতালিয়া গ্রামের আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে। আহত নন্দন দত্ত (২২) ও কার্ত্তিক মন্ডলকে (২৪) গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান জানান, সকালে প্রাইভেটকারে করে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থেকে নন্দন দত্ত ও কার্ত্তিক মন্ডল নামে দুই ব্যক্তি খুলনা যাচ্ছিলেন। তাদের প্রাইভেটকারটি ধূসর ব্রিজের কাছে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের রেইনট্রির সঙ্গে ধাক্কা লাগায়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে চালকসহ তিন জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর প্রাইভেটকার চালকের মৃত্যু হয়। পরে আহত নন্দন ও কার্ত্তিককে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপিনাথপুর এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এতে ঘরের মধ্যে থাকা দুই ভাই-বোনকে চাপা দেয় পিকআপটি। এতে শিশু তাসফিয়া খানম (৩) ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। তার ভাই রাব্বি সিকদার (৬) আহত হয়। তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পিকআপটি ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ সদরের দিকে আসছিল বলে গোপিনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর পরিদর্শক আবু নাঈম জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার কলেজ মোড়ে মাইক্রোবাস চাপায় খুশি বেগম (৫০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। নিহত খুশি বেগমের বাড়ি জেলার মুকসুদপুর উপজেলার প্রভাকরদী গ্রামে।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর মিয়া জানান, রাতে মুকসুদপুর উপজেলার কলেজ মোড় এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন খুশি বেগম। এ সময় দ্রুতগামী একটি মাইক্রোবাস তাকে চাপা দিলে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।