বকেয়া ভাড়ার জন্য পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, বাড়িওয়ালাসহ আটক ৩

নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জের বন্দরে বকেয়া বাড়ি ভাড়াকে কেন্দ্র করে ফয়েজ (৪০) নামে এক ভাড়াটিয়াকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়িস্থ প্রধানবাড়ি উম্মে কুলসুমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাড়ির মালিকসহ তিন জনকে আটক করেছে।

নিহত ভাড়াটিয়া মো. ফয়েজ মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন চরবলাকী গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, উম্মে কুলসুমের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে মো. ফয়েজ তার স্ত্রী ও সন্তানসহ বসবাস করছিলেন। করোনা মহামারিকালে কোথাও তেমন কাজ করতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়েন ফয়েজ। এতে তিনি বাড়ি ভাড়া ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারছিলেন না। ফলে কয়েক মাসের ভাড়া বকেয়া হয়ে পড়ে। এই বকেয়া ভাড়া দ্রুত পরিশোধ করতে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির মালিক উম্মে কুলসুম ভাড়াটিয়া ফয়েজ ও তার স্ত্রী রোজিনা বেগমকে চাপ দেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকাল এগারোটার সময় বাড়ির মালিক উম্মে কুলসুম ও অপর ভাড়াটিয়া মহিউদ্দিনসহ তার স্ত্রী শিরিনা মিলে বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করতে না পারলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিবে বলে মো. ফয়েজ ও তার স্ত্রী রোজিনাকে গালমন্দ করেন। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে বাড়ির মালিক উম্মে কুলসুম ও তার সহযোগী ভাড়াটিয়া মহিউদ্দিন, স্ত্রী শিরিনা মিলে ফয়েজকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তার স্ত্রী রোজিনা বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ফয়েজকে নারায়ণগঞ্জ সদরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফখরুদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদরের জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাড়ির মালিকসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে বন্দর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।