আজ ফিরছেন সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া ৪০০ পর্যটক

সেন্টমার্টিনসেন্টমার্টিনে বেড়াতে এসে আটকে পড়া চার শতাধিক পর্যটক রবিবার (২৫ অক্টোবর) ফিরছেন বলে জানা গেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত তিন দিন ধরে তারা দ্বীপে আটকে ছিলেন। বিকালে সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়ে আসা জাহাজে তাদের ফেরার কথা রয়েছে। গত বুধবার কক্সবাজারের পর্যটকবাহী জাহাজ ও নৌযানে ভ্রমণে এসে তারা আটকে পড়েন। অন্যদিকে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় টেকনাফে আটকে পড়েন দ্বীপের দেড়শ’ মানুষ।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ'র চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক নয়ন শীল বলেন, ‘আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাল পরিস্থিতি ভালো থাকলে কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনে যাবে। ওই জাহাজে করে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরবেন।’

কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয় বলছে, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় কক্সবাজারের উপকূলে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। নাফনদী ও সমুদ্র শান্ত আছে। ফলে মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

দ্বীপের বাসিন্দা নুর মুহাম্মদ বলেন, তিন দিন ধরে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা নিরাপদে আছেন। তবে অনেকে টাকার সংকটে আছেন। আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় কাল (রবিবার) থেকে পর্যটকবাহী জাহাজসহ নৌযান চলাচল করলে পর্যটকদের ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুর আহমেদ বলেন, ‘আটকে পড়া পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ আসার কথা রয়েছে। রবিবার বিকালে সেন্টমার্টিন ত্যাগ করবেন তারা। এদিকে টেকনাফে আটকে পড়া দ্বীপের বাসিন্দারও ফিরতে পারবেন।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ফের জাহাজ চলাচল শুরু হলে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের ফেরত আনা হবে।

পর্যটকবাহী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজের কক্সবাজারের ব্যবস্থাপক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় রবিবার পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন যাবে। ফেরার পথে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটদের নিয়ে আসা হবে।’

সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (উপপরিদর্শক) মো. তারেক মাহামুদ বলেন, বেড়াতে এসে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের স্বার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হচ্ছে। দ্বীপে তারা নিরাপদে আছেন। কোনও পর্যটকের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ আসেনি। রবিবার জাহাজ চলাচল করলে পর্যটকরা দ্বীপ ত্যাগ করবেন বলে জানান তিনি।