নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পলেহা গ্রামের মৃত রওশন আলীর স্ত্রী আছিয়া বেগম বেশ কয়েক দিন আগে পানুর গ্রামে মেয়ে নার্গিস বেগমের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সকালে মেয়ে নার্গিস তার গরুটিকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য পাশের রেল লাইনের হুকের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এক পর্যায়ে বেঁধে রাখা গরুর দড়ি রেল লাইনের হুকের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। এ সময় মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহগামী ২৬২ নম্বর লোকাল আপ ট্রেনটি আসতে দেখে গরু বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে সে ঘটনাস্থলেই আছিয়া বেগমের মৃত্যু হয়।
মোহনগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সমর বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। নিহত বৃদ্ধার মেয়ে নার্গিস এ ঘটনা নিজের চোখে দেখেছে। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।