দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে মোংলা-খুলনা মহাসড়ক। সবচেয়ে বেহাল অবস্থায় থাকা সড়কের ১০ কিলোমিটার অংশ খানা-খন্দে ভরা। এতে এ সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ী, পণ্যবাহী গাড়িচালক ও স্থানীয়রা। তারা সড়কের এমন বেহাল দশার জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোংলা সমুন্দ্র বন্দরে আমদানি-রফতানি পণ্যসহ স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা উৎপাদনমুখী ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্থলপথে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মোংলা-খুলনা মহাসড়ক। মহাসড়কটির বন্দর কর্তৃপক্ষের ৫ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় ৫ কিলোমিটার। এই ১০ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে খানাখন্দে ভরা। এতে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়েছে।
এ সড়কে চলাচলকারী গাড়িচালক বেলায়েত হোসেন, মুরাদ ও সাদ্দাম হোসেন জানান, একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে যায়। ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়কের সংস্কার কাজ বেশিদিন টেকে না। এতে নানা ভোগান্তির পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে গাড়ির চাকা ও যন্ত্রাংশ।
বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আজিম কাওসার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ওভারলোড নিয়ে এক লেনে গাড়ি চলাচলে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্ষার কারণে বিটুমিনের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই সোলিং এইচবিবি’র কাজ (ইটের সোলিং) চলছে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রধান বা অন্যতম কারণ হচ্ছে ওভারলোড। এছাড়া ১৯৮৪ সালে সড়কটি নির্মাণ কাজ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পুনরায় নির্মাণ এবং প্রশস্তকরণ হয়নি। বর্তমানে সড়কটিতে যানবাহন চলাচলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে আমরা রুটিন মেইন্টেনেন্সের আওতায় এর কাজ করবো।
এ ছাড়া চলমান সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করতে একটি প্রস্তবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।