গাজীপুরে কারখানার পুকুরে মিললো নিরাপত্তাকর্মীর লাশ

গাজীপুরগাজীপুরে পৃথক ঘটনায় নিরাপত্তাকর্মীসহ দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে।

নিহতরা হলো জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ঘোনাপাড়া পশ্চিম বাবনা এলাকার আছিম উদ্দিনের ছেলে ছমেদ আলী (৪০) এবং খুলনা সদর থানার ছোটখালপাড় এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে আইয়ুব আলী (৪৭)।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক ও কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) হাবিবুর রহমান জানান, গত ২১ অক্টোবর শ্রীপুর পৌরসভার বহেরারচালা এলাকায় এক্স সিরামিকস কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী পদে চাকরিতে যোগ দেন ছমেদ আলী। সোমবার রাতে তিনি রাতের শিফটের কাজে যোগ দেন। যোগ দেওয়ার ঘণ্টা খানেক পর রাত ৮টার দিকে কারখানার ভেতরের জলাশয়ে ছমেদ আলীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। তার দেহে আঘাতের কোনও চিহন ছিল না। তিনি মৃগী রোগী ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান এসআই নাজমুল হক।

একইদিন মহানগরের এক বাড়ি থেকে রাজমিস্ত্রি আইয়ুব আলীর (৪৭) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর রায় জানান, সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানার দক্ষিণ পানিশাইলের পূবালী হাউজিংয়ে টিপুর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আইয়ুব আলী। প্রায় ৯ বছর আগে প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রায় দুই মাস আগে দ্বিতীয় স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যায়। স্ত্রী-সন্তান না থাকায় তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন। তবে গত দু’দিন ধরে তার ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান প্রতিবেশীরা। সোমবার (২৬ অক্টোবর) ওই ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্টিলের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে মেঝেতে আইয়ুব আলীর অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায়। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।