পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

1a8fbc5755aff0fbea9cbf07851f8dd6-5f9addfbba104লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন্নবী (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে মৃতদেহ আগুনে পোড়ানোর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর।

তিনি বলেন, 'প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে। সিআইডিসহ অন্যান্য সংস্থা ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করছে। এ ঘটনায় একাধিক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান।

জানা যায়, নিহত আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন্নবী রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়ার মৃত আবু ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন সুলতান জোবায়ের আব্বাস (৪৫) নামের আরও এক ব্যক্তি। তিনি একই এলাকার শেখ আব্বাস আলীর ছেলে, পেশায় দলিল লেখক।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন্নবী ও সুলতান জোবায়ের আব্বাস পাটগ্রামের বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আসর নামাজের পর মসজিদের খাদেম জুবেদ আলীর (৬০) সঙ্গে সালাম ও করমর্দন করেন। এরপর সেখানে অস্ত্র আছে এমন দাবি করে মসজিদের কোরআন ও হাদিস রাখার সেলফ তল্লাশি করেন। এ সময় মসজিদের উঠানে থাকা স্থানীয় ৫-৬ জন মুসল্লি তাদের দু’জনকে মারধর করে। খবর পেয়ে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম তাদের সেখান থেকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে তালা দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। তবে উত্তেজিত মানুষ বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জমায়েত হয়ে জানালা-দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাদের গণপিটুনি দেয়। এতে শহীদুন্নবী সেখানেই মারা যান। এরপর তার মরদেহ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে বের করে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে আরেকজন প্রাণে বেঁচে যান।

আরও পড়ুন:

লালমনিরহাটে যুবককে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ