বাবাকে আহত করে মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা




নোয়াখালীনোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের বড়চারীগাঁও এলাকায় অটোরিকশায় হামলা চালিয়ে (১৯) বাবাকে মারধর করে এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাতে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর এলাকার ওই গৃহবধূ তার বাবাকে নিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ নানার বাড়ি যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় তাদের রিকশাটি নবীপুর ইউনিয়নের বড়চারীগাঁও এলাকায় পৌঁছালে ওই গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে মো. বাবুলের (২২) নেতৃত্বে অটোরিকশার গতিরোধ করার চেষ্টা চালানো হয়। তবে চালক অটোরিকশা না থামিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় ওই গৃহবধূকে রিকশা থেকে টেনে নামানোর চেষ্টা চলে। তার বাবা বাধা দিলেও তাকেওে মারধর করা হয়। পরে ওই গৃহবধূকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গৃহবধূর অভিযোগ, অভিযুক্ত বাবুল তাকে অপহরণ করে এক সহযোগীসহ পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় আরও এক যুবক তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। পরে, তিন জন মিলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে চিৎকার শুনে তার বাবা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ লোকজন একত্রিত হলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।

গৃহবধূর পিতা বলেন, আহত অবস্থায় তিনি দৌঁড়ে স্থানীয় চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিন উল্যাহ বিএসসিকে বিষয়টি জানাই। পরে চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে, বখাটেরা পালিয়ে যায়।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, গৃহবধূর বাবা শুক্রবার রাতে মো. বাবুলসহ তিন জনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।