বুধবার (৪ নভেম্বর) রাতে আবুল বাশার খানের চাচাতো ভাই ভান্ডারিয়া টাউন ক্লাবের সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবুল বাশার ভান্ডারিয়ার সম্ভ্রান্ত খান বাড়ির প্রয়াত মাহাবুব উদ্দিন খান কাঞ্চন ও প্রয়াত শাহানারা বেগমের বড় ছেলে। ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তারা দুই ভাই ও দুই বোন। পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। তবে ছোট বোন রোজী খান অস্ট্রেলিয়া বসবাস করছেন। ৫৮ বছর বয়সী আবুল খান ৪০ বছর ধরে আমেরিকার নিউহ্যাম্পশায়ারের সিব্রুকে সপরিবারে বসবাস করে আসছেন।
জানা গেছে, তিনি ২০০৬ সাল থেকে কয়েকদফা নির্বাচনে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ভোটে জিতে আসছেন। আমেরিকায় বসবাসরত দক্ষিণ এশিয়ার নাগরিক হিসেবে তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। আবুল বাশার সেখানে নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা, জননিরাপত্তা ও পরিবেশ উন্নয়নে একজন বাংলাদেশি হিসেবে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন।
ভান্ডারিয়া টাউন ক্লাবের সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন খান জানান, আবুল খান ১৯৮১ সালের ১০ জানুয়ারি আমেরিকায় যান। তিনি ঢাকার মুসলিম গভ. হাইস্কুল থেকে ১৯৭৬ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৭৮ সালে নটরডেম কলেজ হতে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তি হয়ে তিন বছর পড়ার পর স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা গিয়ে আর ফেরেননি। আমেরিকায় বসবাসরত অবস্থায় ১৯৮৪ সালে নিজ জেলা পিরোজপুরের মর্জিয়া হুদা খানকে বিয়ে করেন। এ দম্পতির ঘরে ছেলে আতিক খান ও মেয়ে নূসরাত জাহান আমেরিকা প্রবাসী।
তিনি আরও জানান, আবুল বাসার খান আমেরিকা যাওয়ার পর নিউইয়র্ক শহরে প্রথমে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেন। ২০০০ সালে তিনি নিউ হ্যাম্পশায়ার সিটির সিব্রুক শহরে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেনেন। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়া সেখানে একটি গ্যাস স্টেশনও ছিল। স্ত্রী মর্জিয়া হুদা খানের অনুপ্রেরণায় আবুল খান নিউহ্যাম্পশায়ারে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।