নির্বাচন, নাকি সন্ত্রাস ও প্রহসন: দুলু

সিরাজগঞ্জসিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর-সদর আংশিক) আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বিএনপির প্রার্থীকে প্রচারণা চালাতে দেওয়া হচ্ছে না এবং তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নির্বাচনি প্রচারণা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়ক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এসব অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রার্থীকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কাজীপুরের নির্বাচনি প্রচারণা ছেড়ে পালিয়ে এসে তিনি সিরাজগঞ্জে অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের প্রশ্ন হলো, সত্যিই কি নির্বাচন, নাকি সন্ত্রাস ও প্রহসন। বৃহস্পতিবার বিএনপির গণসংযোগেও হামলা চালানো হয়েছে। আমরা ফলাফল জানি। তবুও সংবিধান, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকতে চাই।’

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানবান্ধি মহল্লায় সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান তালুকদারের বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ১২ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা দেখবো। আগামী দিনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি না, এ বিষয়েও ভাবতে হবে।’

বিএনপির এ সাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, শুধু কাজিপুর নয়, নওগাঁ ও পাবনার উপনির্বাচনেও প্রচরাণায় বাধা, হামলা, মামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে সুষ্ঠুভাবে কোথাও নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই নির্বাচনকে ভয় পায়।

ইভিএম প্রসঙ্গে দুলু বলেন, যে দেশে ইভিএম চালু হয়েছে, সেই জার্মানীতেই তা বাতিল করা হয়েছে। তবে এখানে কেন ইভিএম? ইভিএমে প্রিজাইডিং অফিসার ইচ্ছে করলে একাই ৫০০ ভোট দিতে পারবেন।

ব্রিফিংয়ে বিএনপি প্রার্থী সেলিম রেজার অভিযোগ, আমাকে তিন দিন ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। লুকিয়ে গোপনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অন্য এলাকায় এসে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করছি। সেখানেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনারকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও সুষ্ঠু কোনও সমাধান বা বিচার পাইনি।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রকিবুল হাসান রতন, যুগ্ম-সম্পাদক ভিপি শামীম, রাশেদুল হাসান রঞ্জন, সাংবাদিক হারুন-অর-রশিদ খান হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, কাজিপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রহমতুল্লাহ আইয়ুব প্রমুখ।

 

এদিকে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন, প্রচারণায় কাউকে বাঁধা দেওয়া হয়নি। বরং পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচন বানচাল করতেই বিএনপি প্রার্থীর পক্ষ থেকে পায়তারা চালানো হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার বিএনপির লোকজন ছোনগাছায় প্রধানমন্ত্রী এবং আমার প্রয়াত বাবা মোহাম্মদ নাসিম সম্পর্কে কূক্তি করে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ে বিএনপি প্রার্থী সেলিম ও তার সমর্থকরা পালিয়ে যান।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর কারণে আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১২ নভেম্বর উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।