সিভিল সার্জন হাসনাত ইউসুফ জাকী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালসহ জেলার উপজেলা হাসপাতালগুলোর জন্য হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন পাওয়া গেছে। পিরোজপুর জেলা পরিষদ থেকে এগুলো দেওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন না থাকার কারণে এগুলো ব্যবহার উপযোগী করা যাচ্ছে না। জেলা হাসপাতাল ও ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ব্যবহারে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন লাগানোর জন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর থেকে প্রাক্কলন তৈরি করেছে বলে জানতে পেরেছি।’
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খানম জানান, ২৭ জুন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালসহ জেলার অন্য ছয়টি উপজেলা হাসপাতালে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া করোনা শুরুর পর থেকে দু দফায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে।
পিরোজপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন জানান, সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন বসানোর জন্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার একটি প্রাক্কলন তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন ও দরপত্রের প্রক্রিয়াদি শেষ করার পর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হবে। তখন হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন ব্যবহার করা যাবে।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. তৈয়ব আলী হাওলাদার জানান, পাঁচ হাজার ৩৯৪ জনের নমুনা বরিশালে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচ হাজার ৩৮৬ জনের নমুনার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ৪ অক্টোবর পর্যন্ত জেলায় করোনা পজিটিভ এক হাজার ১১০ জন। সুস্থ এক হাজার ৪৭ জন। অন্যরা হোম আইসোলেশন আছেন। মারা গেছেন ২৪ জন।