সাদাত 'শিশু শান্তি পুরস্কার' পাওয়ায় খুশি নড়াইলবাসী




Untitledকিশোর সাদাত রহমান আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার অর্জন করায় নড়াইলে বইছে আনন্দের বন্যা। সাদাত শিশুদের নোবেল খ্যাত এই পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় নড়াইলের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ আনন্দিত ও গর্বিত। সাইবার অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে একটি অ্যাপ তৈরি করে সাদাত এই পুরস্কারে পেয়েছেন।

১৭ বছরের কিশোর সাদাত নড়াইল সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। নেদারল্যান্ডসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সাদাত রহমানকে পুরস্কৃত করা হয়।২০০৫ সালে রোমে অনুষ্ঠিত নোবেল বিজয়ী শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের এক শীর্ষ সম্মেলন থেকে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য এই পুরস্কার চালু করে কিডস রাইটস নামের একটি সংগঠন।

সূত্র জানায়, সাদাত রহমান একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছেন যেখানে সাইবার বুলিংয়ের শিকার ভুক্তভোগী শিশু, কিশোর-কিশোরীরা অনলাইনে রিপোর্ট করতে পারছে এবং নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীরা জানতে পারে কীভাবে ইন্টারনেট দুনিয়ায় তারা সুরক্ষিত থাকতে পারবে। ইতোমধ্যে সাদাতের অ্যাপটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র নড়াইলেই এক হাজার ৮০০ জন অ্যাপটি ব্যবহার করছে।

সাইবার টিনস'র হেড অব ক্যাম্পেইন শফিকুল ইসলাম জানান, তাচ্ছিল্যের শিকার হয়ে ১৫ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার কথা শুনে অ্যাপ তৈরির কাজ শুরু করে সাদাত।

নড়াইল আব্দুল হাই সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মল্লিক সাদাত রহমানকে নড়াইল তথা বাংলাদেশের নক্ষত্র উল্লেখ করে বলেন, সাইবার ক্রাইম থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষায় সাদাত রহমানের অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নড়াইলবাসীর মুখ বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করেছেন সাদাত।

নড়াইল পৌরসভার মেয়র মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, সাদাত রহমান আমাদের গর্ব।মোবাইল অ্যাপ তৈরির মাধ্যমে নড়াইল তথা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম করেছেন সাদাত। তার অবদান শিশু-কিশোরদের মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।