জামালপুরে আমনের বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক




ধান২দীর্ঘ বন্যার পরেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন জামালপুরের কৃষকরা। এবার বন্যার কারণে জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হলেও রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনে স্বপ্ন দেখছেন তারা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়া নিয়েও শঙ্কাও কাজ করছে তাদের মধ্যে। আশানুরূপ লাভ না পেলে ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে তাদের। 

জামালপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার চরে গিয়ে দেখা যায়, মেলান্দহ উপজেলার টুপকার চর, সাধুপুর, চিনিতুলা, কুলিয়া, শ্যামপুর, মাহমুদপুর, ঝাউগড়া, হাজরাবাড়ী, ফুলকোচা ও রেখির পাড়া; ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা, চরগোয়ানী, চরপুটিমারী, চিনাডুলি, কুলকান্দি, গাইবান্ধা, পাথর্শী ও নোয়ারপাড়ায়; সদর উপজেলার নরুন্দি, চর যথার্থপুর, বারুয়ামারী, তুলসীরচর, আজুগীতলা, লক্ষীরচর, চর গোবিন্দবাড়ী ও তারাগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধানের বেশ ভালো ফলন হয়েছে। তবে বাজার দর কম হওয়ায় লাভ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষক।

মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া গ্রামের চাষি আলা উদ্দিন বলেন, গত বছর আমি এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের ধানীগুল্ড আমন ধান চাষ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছিল, তাই এ বছর আমি চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। এবার মনে হয় বিঘা প্রতি ৩০-৩৫ মন ফলন হবে। তবে এ বছর ধানের বাজার দর ভালো না থাকায় খুব হতাশায় আছি।

একই গ্রামের চাষি আব্দুল বারেক বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর হাইব্রিড জাতের ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আমাদের খরচ হয়েছে প্রতি বিঘায় প্রায় ১৫ হাজার টাকার মতো। ধানের দাম কম হওয়ায় আমরা বিপদে আছি, ৫-৬ শ’ টাকা মন ধান বিক্রি করে মনে হয় না বেশি একটা লাভবান হতে পারবো।

ধান১চর যথার্থপুর গ্রামের মকছেদ আলী বলেন, এবার আমি তিন বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের ধানীগুল্ড আমন ধান চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ৩৫-৪০ মন পাবো আশা করি। তবে এ বছর ধানের ভালো দাম পাবো কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি।

জামালপুর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বছর জামালপুর জেলায় এক লাখ ছয় হাজার ৩০০ হেক্টর জমি আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল । কিন্তু এক লাখ সাত হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে তিন জাতের রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান চাষিরা কিছু লাভবান হবে। উফসি ও স্থানীয় জাতের আমন ধান চাষিরা বাজারমূল্য কম থাকায় লাভবান হবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।