সেই পরিবারটি অনশন ভাঙলো ইউএনও’র আশ্বাসে

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে অনশন করে জমি বুঝে না পাওয়া সেই পরিবারটি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রায়ের পরও সম্পত্তির দখল বুঝে না পেয়ে দেশত্যাগের হুমকি দেওয়া পরিবারটি অবশেষে তাদের অনশন প্রত্যাহার করেছে। চারদিনের কর্মসূচি শেষে আজ তারা আখাউড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূরে আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ভুক্তভোগী পরিবারকে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থার পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিলে তারা অনশন ভেঙে বাড়ি ফিরে যান। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তর করে ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের শিপন বণিকের ১৪ সদস্যের পরিবার। একই দাবিতে পরদিন তারা নিজ বাড়ির সামনে মানববন্ধন করেন।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে তারা অনশন কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঘোষণা দেন। দাবি আদায় না হলে আখাউড়া স্থলবন্দরে হাজির হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তর করে ভারত কর্তৃপক্ষের কাছে আশ্রয়ের প্রার্থনা করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান। লিখিত বক্তব্যে শিপন বণিক নামে ওই যুবক জানান, প্রতিবেশীর সঙ্গে বাড়ির জায়গা নিয়ে প্রায় ২০ বছর ধরে বিরোধ চলছে। মামলা চালাতে গিয়ে আর্থিকভাবেও অনেক লোকসান হয়েছেন। রায় পেলেও প্রতিবেশী তাজুল ইসলাম ও বিল্লাল মিয়ার কাছ থেকে জায়গা বুঝে পাচ্ছেন না তারা।

এদিকে জায়গার মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে ওই পরিবারটি মিথ্যা অভিযোগ করছে দাবি করে গতকাল রবিবার সকালে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিল্লাল মিয়া ও তাজুল ইসলাম। এ সময় তারা শিপন বণিকের পরিবারের করা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

রবিবারের ওই সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিল্লাল মিয়া বলেন, ‘আমাদের বাড়ির ২৫ শতক জায়গা আমার আম্মা ফাতেমা বেগমের নামে কেনা। এখানে আমরা ৫৩ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি।  বাংলাদেশ সরকারের ভূমি জরিপে মাঠ পর্চা মূলে বিএস ৭১৪ নং চূড়ান্ত খতিয়ান আমাদের নামে হয়। আমাদেরকে সামাজিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করার জন্য তারা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন। উপরোন্তু আমরা তাঁদের হুমকি ধমকির শিকার হচ্ছি।

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, তাদেরকে সব ধরনের আইনি সহযোগিতা দেওয়া হবে। যেহেতু বিষয়টি জায়গা সংক্রান্ত তাই আদালতের মাধ্যমে মীমাংসা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।