স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

আদালত

গোপনে বিয়ের পর বাড়িতে তুলে নেওয়ার দ্বন্দ্বে ডেকে নিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় স্বামী মাসুম বিল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩নং আমলী আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এই রায় দেন। সেই সাথে ১০ হাজার টাকা এবং আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাসুম বিল্লাহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে। হত্যার ঘটনাটি ঘটে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর কাশিপুর গ্রামে। ওই গ্রামের আনা মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্বাসরোধে হত্যার শিকার আসমা আক্তার ও আসামি মাসুম বিল্লাহ গোপনে বিয়ে করেন। বিষয়টি ছেলে এবং মেয়ের পরিবারের কেউ জানতো না। বিয়ের বছরখানেক পরে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর বাড়িতে তুলে নেওয়ার জন্য মাসুমকে চাপ দেয় আসমা। এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে আসমাকে বাড়ির পাশের একটি শিম ক্ষেতে গিয়ে ডেকে নেয় মাসুম। বাড়িতে তুলে নেওয়া এবং বিয়ের বিষয়টি পরিবারকে জানানোর দ্বন্দ্বে তাদের মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল আসমাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মাসুম পালিয়ে যায়।

এ হত্যার ঘটনার পরদিন আসমার বড় ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে তদন্তে আসামি মাসুম বিল্লাহর সংশ্লিষ্টতা বের হয়ে আসে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩নং আমলী আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান অনেক পরিশ্রমী ব্যক্তি। ওনার দূরদর্শিতার কারণে চার বছরের মধ্যে একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রায় প্রদান করা সম্ভব হয়েছে।