সিআইডির পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, ২৮ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য ও আদালতে ১৬৪ ধারায় রায়হানুল ইসলামের জবানবন্দি পর্যালোচনা সাপেক্ষে তাকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৫ অক্টোবর ভোর রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়ার খলশি গ্রামে মাছ ব্যবসায়ী শাহিনুল ইসলামসহ পরিবারের চার সদস্যকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। রাতে শাহিনুলের শাশুড়ি ময়না খাতুন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডি পুলিশকে। হত্যার দিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় নিহতের ছোটভাই রায়হানুলকে।
পরের দিন রায়হানুলকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। রায়হানুলকে পুলিশের রিমান্ডে নেওয়া হয়। আদালতে জবানবন্দি নেওয়া হয় ১৬৪ ধারায়। জবানবন্দিতে রায়হানুল স্বীকার করে ভাই ও ভাবিকে স্পিডের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে চাপাতি দিয়ে তিনিই ভাই শাহিনুল ইসলামসহ পরিবারের চার সদস্যকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেন। পরিবারের বেঁচে যাওয়া একমাত্র পাঁচ মাসের শিশু মারিয়া সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নাসিমা খাতুনের কাছে বেড়ে উঠছে।