পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুরে নিয়ে যায়। সারাদিন বিভিন্নস্থানে ঘোরাঘুরির পর রাতে তাদেরকে ওমর ফারুক ইমনের কাছে হস্তান্তর করে। ইমন, আনোয়ার ও সোহাগ তাদেরকে দেবনগর ইউনিয়নের পাথরঘাটা নিজবাড়ি এলাকার আব্বাস আলীর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তারাসহ অপর আসামিরা ওই দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এতে দুই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানে তাদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গভীর রাতে সেখানে গিয়ে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে তেঁতুলিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় দুই কিশোরীর জবানবন্দি অনুযায়ী ভজনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই কিশোরীর বাবা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। দুই ছাত্রীর পরিবারের দাবি তাদের সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি মো. জহুরুল ইসলাম জানান, দুই কিশোরির বাবা অপহরণের পর ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিন আসামিকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন কুমার রায় জানান, এ ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই দুই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান তিনি।