‘যে ওসি মামলা নেননি তাকেই দেওয়া হলো তদন্তের দায়িত্ব’

Barisal Press Conference PIc 30-11-20

পটুয়াখালীর মুসলিপাড়ার একটি বাসায় আটকে তানভীর রহমান নামের (২১) যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যাকারীদের কঠোর বিচার চেয়েছেন স্বজনরা। সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্ত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন নিহতের মা কামরুন্নাহার।
নিহত তানভীর জেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি ফার্মেসিতে চাকরি করতেন।
নিহতের মা কামরুন্নাহার জানান, তার ছেলে তানভীর ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ঢাকায় থাকা অবস্থায় তানভীরের সাথে মুঠোফোনে পটুয়াখালীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমপাড়া এলাকার এবিএ শাহীন ফেরদৌসের মেয়ে মারিয়া আক্তারের (১৮) পরিচয় এবং পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি উভয় পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন। গত ১১ নভেম্বর তানভীরকে কৌশলে ঢাকা থেকে ডেকে পটুয়াখালী নিয়ে আসে মারিয়ার বাবা শাহীন ফেরদৌস। ওইদিন বিকেলে শাহীনের বাসায় তানভীরকে শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ গুমের চেষ্টা করা হয়। এলাকাবাসী টের পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে থানা থেকে তানভীরের বোন নিপা বেগমের কাছে ফোন করে তানভীরের মরদেহ উদ্ধারের খবর জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ছেলে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাদের মামলা গ্রহণ না করে উল্টো সন্দেহভাজন ঘাতক শাহীন ফেরদৌসের দায়ের করা অপমৃত্যু মামলা রজ্জু করে।
নিরুপায় হয়ে তানভীরকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত এবিএ শাহীন ফেরদৌস, তার স্ত্রী রুমা বেগম, মেয়ে মারিয়া আক্তার এবং ইমরান নামে ৪জনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর থানার ওসি’কে নির্দেশ দেন।
তানভীরের মায়ের অভিযোগ, যে ওসি হত্যা মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাকেই দেওয়া হলো আদালতের মামলা তদন্তের দায়িত্ব। এতে তারা ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সন্দিহান।
সংবাদ সম্মেলনে তানভীরের বোন ফেরদৌসী ইসলাম, খালাতো ভাই ইমরান হোসেন ও মামা হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।