পাওনা টাকার জন্য বন্ধুকে খুন, সাড়ে তিন বছর পর গ্রেফতার






গ্রেফতারকৃত আলম হোসেনগাজীপুরে পাওনা টাকা না দেওয়ায় বন্ধু মোশারফ হোসেনকে (৪০) হত্যা করে লাশ বাসার সামনে ফেলে রাখে তার বন্ধুরা। চাঞ্চল্যকর এ খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের এক বন্ধু আলম হোসেনকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) রাতে টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন বছর পর খুনের রহস্য উম্মোচন করেছে পিবিআই। বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  


গ্রেফতারকৃত আলম হোসেন (৩৯) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার ৫নং ব্লকের মৃত আলমাছ মিয়ার ছেলে।    
গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাকছুদের জানান, ২০১৭ সালের ২১ মে বিকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ৬নং ব্লকের মকবুল হেসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন ওরফে হাতকাটা মোশারফকে (৪০) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় বন্ধু শান্ত। পরে রাতে মোশারফের লাশ বাসার সামনে পড়ে থাকতে দেখে স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় (বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব) মামলা দায়ের করেন। গাজীপুর জেলা পুলিশ ও পরবর্তীতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) মামলাটির তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবদেন দাখিল করে। প্রতিবেদনে তথ্যগত ভুল থাকায় গত মার্চ মাসে আদালত চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্তভার গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর ন্যস্ত করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এরশাদনগর এলাকা থেকে এ ঘটনায় জড়িত থাকায় আলম হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আলম হোসেন আদালতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন বছর পর চাঞ্চল্যকার মোশারফ হোসেন খুনের রহস্য উন্মোচন হয়েছে।  

গ্রেফতারকৃত আলম হোসেন জানায়, ব্যবসার জন্য বন্ধু শান্তর কাছ থেকে সুদে দুই দফায় দুই লাখ টাকা ধার নেয় মোশারফ হোসেন। পরবর্তীতে পাওনা টাকা (সুদ ও আসল) না দেওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এর জেরে শান্ত বন্ধুদের সহযোগিতায় হায়দারাবাদ ব্রিজের দক্ষিণ পাশে রেল লাইনের ঢালে মোশারফকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে কথাকাটির এক পর্যায়ে মোশারফকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে নিহতের লাশ রিকশাযোগে বাসার সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ঘাতক বন্ধুরা।