বালুখেকোদের ধরতে গিয়ে হামলার কবলে ভ্রাম্যমাণ আদালত, আহত ৬

নেত্রকোনা

সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে গিয়ে ড্রেজার শ্রমিকদের হামলার শিকার হয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের লোকজন। এতে পুলিশ, ভূমি অফিসের কর্মচারীসহ ৬ জন আহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলা সদরের সোমেশ্বরী নদীর ১নং বালুঘাটে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নদীর ১ নং বালুঘাট ইজারা নিয়ে ইজারাদার দীর্ঘদিন ধরে তার লোকজনকে দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বাংলা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে করে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী নদীভাঙন রোধ করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বার বার আবেদন করে আসছে।

 এ কারণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বুধবার দুপুরের দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ন চন্দ্র বর্মণ এর নেতৃত্বে একটি দল সেখানে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু করে। তবে তাদের কাজে বাধা দিয়ে ড্রেজার শ্রমিকরা তাদের ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলার খবর পেয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম, সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী, ওসি শাহ্ নুর এ আলম অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শ্রমিকদের হামলায় দুর্গাপুর থানার এসআই রুকন উদ্দিন (৪০), কনস্টেবল খলিলুর রহমান (৫৫), কনস্টেবল রুবেল মিয়া (৩০), ভুমি অফিস কর্মচারী নজরুল ইসলাম (৪৫), এরশাদুল ইসলাম (৩২) ও ঘাট শ্রমিক রফিক (৩৫) গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পরে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ ৫০টি অবৈধ বাংলা ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেন। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বালুঘাটের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।