উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকে বেসরকারিভাবে প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানানো হয়।
ভোটগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় উপজেলা কন্ট্রোল রুমে ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী এবং কুলাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ বিনয় ভূষণ রায় এর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. আহসান ইকবাল। ঘোষিত ফলাফল অনুসারে অপর দুই প্রার্থী খয়রুল আমিন চৌধুরী টিপু (আনারাস প্রতীক) এক হাজার ১৮ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত অধ্যাপক সিএম জয়নাল আবেদীন (নৌকা প্রতীকে) পেয়েছেন ৯৬৬ ভোট।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. আহসান ইকবাল জানান, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে চলা নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব-৯, বিজিবি ও পুলিশ, আনসারসহ মোবাইলটিম মোতায়েন ছিল। নির্বাচনে মোট চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিজয়ী চেয়ারম্যান খোরশেদ আহমদ খান সুইট বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি ও বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল লতিফ খানের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। দলের প্রতীক না পেয়ে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হন।
উল্লেখ্য, বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাহজাহান গত ২ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করায় পদটি শূন্য হয়।