বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর: আদালতে দুই মাদ্রাসাশিক্ষকের জবানবন্দি




কুষ্টিয়াকুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের মামলায় গ্রেফতার চার আসামির মধ্যে দুই মাদ্রাসা শিক্ষক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন তাদের জবানবন্দি নেন।

এরআগে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার তাদের আদালতে হাজির করেন।

দুই শিক্ষক হলেন কুষ্টিয়া শহরের জগতি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইবনি মাসউদ (রা.) মাদরাসার শিক্ষক ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের মো. আল আমিন (২৭) এবং পাবনার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি এলাকার বাসিন্দা মো. ইউসুফ আলী (২৬)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই মাদ্রাসা শিক্ষককে পুলিশের কড়া পাহারায় আদালতে নেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন তার খাসকামরায় প্রথমে ইউসুফ আলীর জবানবন্দি নেন। ঘণ্টাব্যাপী জবানবন্দি শেষে পৃথকভাবে আল আমিনেরও জবানবন্দি নেওয়া হয়। বিকাল পাঁচটার দিকে জবানবন্দি শেষে পুলিশের কড়া পাহারায় প্রিজনভ্যানে করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম তানভীর আরাফাত জানান, গ্রেফতা দুই শিক্ষক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই মাদ্রাসাছাত্রকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। এ ঘটনায় মামলা হলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীসহ তাদের দুই শিক্ষককেও গ্রেফতার করে পুলিশ। অধিকতর তদন্তের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর রাত দুইটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর
নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এসময় ভাস্কর্যের মুখ ও হাতের অংশ ভেঙে ফেলে তারা। পরে সিসিটিভির ছবি দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একইদিন ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দিন মামলা করেন।