ইবির খসড়া ক্যালেন্ডারে বঙ্গবন্ধুর নামের বানান ভুল, খতিয়ে দেখার দাবি




কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) খসড়া ক্যালেন্ডারে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেলের নামের বানান ভুল থাকায় তা ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. রুহুল কেএম সালেহ ও সাধারণ সম্পাদক ড. আবু হেনা মোস্তফা জামাল স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারের খসড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেলের নামের বানান ভুল থাকায় রেজিস্ট্রারকে শোকজ ও উপস্থাপিত খসড়া কপি ছুঁড়ে ফেলা বিষয়ক খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম ভুলভাবে উপস্থাপন ও তাদের ছবির অবমাননায় বঙ্গবন্ধু প্রেমি সব প্রগতিশীল মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে এটাই স্বাভাবিক। আমরাও এ ধরনের ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ ও মর্মাহত। কিন্তু একেবারে খসড়া পর্যায়ে থাকা সংবেদনশীল একটি বিষয় জনসম্মুখে আসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

এছাড়াও ২০২০-২১ সালের ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার প্রণয়ন কমিটির দুজন শিক্ষক সদস্যের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই এ মর্মে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। কাজেই এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত এবং কোন প্রক্রিয়ায় এটা চলমান সেটি খতিয়ে দেখা আশু প্রয়োজন।

ইবিবিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য যখন সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন, তখন স্বার্থান্বেষী কোনও মহল একেবারে খসড়াপর্যায়ে থাকা সংবেদনশীল একটি বিষয় জনসম্মুখে এনে উপাচার্যের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে কিনা তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গত ৭ ডিসেম্বর ইবির ২০২০-২১ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারের বর্ডারের রঙ চূড়ান্ত করার জন্য তা উপাচার্যের কাছে উপস্থাপন করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম আব্দুল লতিফ। এ সময় উপাচার্য ক্যালেন্ডারের বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও শেখ রাসেলের নামের বানান ভুল লক্ষ্য করেন। এমন ভুল অনভিপ্রেত উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে আগামী সাত দিনের মধ্যে উপযুক্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।