প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রশাসন ভবনের সামনে পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়ানোর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্তবাংলা’য় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য। পরে একে একে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, ইবি শাখা ছাত্রলীগ ও কেন্দ্র ঘোষিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ফুল দেওয়ার জন্য বেদিতে ওঠে। এসময় পাশ থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা জুতা পায়ে বেদিতে উঠছেন বলে প্রতিবাদ করতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে কর্মকর্তা সমিতির সদস্যরাও প্রতিবাদ করলে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হন।
এসময় উভয়পক্ষ লাঠি-সোটা নিয়ে তেড়ে আসে ও তুমুল সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এছাড়া ফুলের ডালি নিয়ে টানাহেচড়ার একপর্যায়ে তা ভেযে যায়। এদিকে সহায়ক কর্মচারী সমিতি ফুল নিয়ে বেদিতে উঠলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ও বেদিতে উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও ব্যর্থ হয়। পরে পরিবেশ শান্ত হলে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।
এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়াতে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গ্রুপের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র মৈত্রী।
বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, মহান বিজয় দিবসে এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুন্ন। উভয়পক্ষের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। যদিও এটা তাদের সংগঠনের আভ্যন্তরীণ বিষয়, তবুও আমি চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে যেন এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।