ভিকটিমকে আদালত চত্বরে বিয়ে করলো ধর্ষক

ঝালকাঠিঝালকাঠির আদালত চত্বরে ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে নির্যাতনের শিকার তরুণীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ঝালকাঠির অবকাশকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহর নির্দেশে রবিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে বিয়ে পড়ান কাজী মাওলানা মো. সৈয়দ বশির।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিয়ের বর বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগাতি গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে নাঈম সরদার (২২)। কনে ঝালকাঠির বালিঘোনা গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের মেয়ে আরজু আক্তার (১৮)। বিয়ের পর আসামি বর নাঈমের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক মো. শহিদুল্লাহ।  

পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মান্নান রসুল জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বালিঘোনা গ্রামের আরজু আক্তার গত ৮ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে মর্মে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন। বিচারক ভিকটিমের অভিযোগ ঝালকাঠি থানায় এফআইআর হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দেন। ১২ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় এফআইআর রেকর্ড হলে একমাত্র আসামি নাঈমের বাবা আনোয়ার হোসেন ছেলেকে ১৩ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় সোপর্দ করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই নাজমুজ্জামান আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন । আদালত নাঈমের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। রবিবার (২০ ডিসেম্বর) অবকাশকালীন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামির জামিন শুনানির সময় আসামি পক্ষ ভিকটিমকে বিবাহের আগ্রহ প্রকাশ করলে এবং নির্যাতিতা পক্ষও প্রস্তাবে রাজি হলে বিচারক মো. শহিদুল্লাহ আদালত চত্বরেই ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহের নির্দেশ দেন। আদালত চত্বরে আসামি, ভিকটিম ও উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানি শেষে বিশ হাজার টাকা বন্ডে আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

বর আসামি নাঈম পেশায় ইলেক্টট্রিশিয়ান এবং কনে আরজু দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। ২০১৯ সালের শুরুতে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং প্রেম। ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় আরজুদের বাড়ির পেছনের বাগানে মোবাইলে ডেকে এনে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে নাঈম।