বাসে কলেজছাত্রী নির্যাতন মামলায় বাস হেলপারের স্বীকারোক্তি

সুনামগঞ্জে কলেজছাত্রী নির্যাতন মামলায় বাস হেলপার আদালতে এসে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী নির্যাতন ঘটনার অন্যতম আসামি বাসের হেলপার আব্দুর রশীদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১টায় সুনামগঞ্জ আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাগীব নূরের আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে সে।

আদালতে পুলিশ তাকে অত্যন্ত গোপনতার সঙ্গে হাজির করে। 

গতকাল সোমবার ভোরে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বুরাইয়ার গাঁও গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করে পিবিআই সিলেটের সদস্যরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিকে সুনামগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সুনামগঞ্জ আদালতের পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. আবুল হাসেম জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে আদালতের আদেশে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে সিলেটের লামাকাজী এলাকা থেকে ওই কলেজছাত্রী ফাহমিদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহনের বাসে দিরাই আসছিলেন। এসময় দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামে বাসের চালক, হেলপার ও কন্ডাকটর চলন্ত বাসে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। পরে এলাকাবাসী তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠান। সেখান থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ওই কলেজছাত্রী বর্তমানে সিলেট ওসামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন আছেন।  এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে দিরাই এলাকাবাসী রাতে থানা পয়েন্ট এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।  রবিবার রাতে কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে দিরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত বাসচালক ও ভাড়া সংগ্রাহক পলাতক রয়েছে।