বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ৭

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার গাছতলা নামক স্থানে নেত্রকোনাগামী যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে অটোরিকশার চালকসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন।

রবিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন—নেত্রকোনার পূর্বধলার চুয়ালেঞ্জী গ্রামের মাওলানা ফারুক হোসেন (৩০), তার স্ত্রী মাসুমা খাতুন (২৩), তাদের তিন দিন বয়সী নবজাতক শিশু, ফারুকের বোন জুলেখা খাতুন (২৮), ভাই নিজাম উদ্দিন (৩২), ভাবি জোসনা বেগম (৪০) এবং অটোরিকশাচালক রাকিবুল হাসান (৩০)। রকিবুল ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, দুপুর দেড়টার দিকে নেত্রকোনা থেকে ঢাকাগামী হযরত শাহজালাল পরিবহনের একটি বাস নেত্রকোনাগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার সাত জন মারা যান। ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের উদ্ধার করেন।  

নিহতদের স্বজন আলী হোসেন জানান, শুক্রবার (১ জানুয়ারি) মাওলানা ফারুক হোসেনের স্ত্রী মাসুমা খাতুন বাচ্চা প্রসব করেন ময়মনসিংহ নগরীর লিবার্টি প্রাইভেট হাসপাতালে। তারা নবজাতক পুত্র সন্তানকে নিয়ে রবিবার বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। এ ঘটনায় পরিবারের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। ঘটনার জন্য দায়ী বাসচালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী কাসেম জানান, বাসচালকের ভুলের কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দ্রুতগতির কারণেই বাসটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। 

এদিকে ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা গেলেও চালককে আটক করতে পারেনি পুলিশ।