গৃহবধূকে খুন করে লাশ মাটিচাপা: স্বামী ও সতিনের মৃত্যুদণ্ড

মেহেরপুরে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তার স্বামী ও সতিনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার ইচাখালী গ্রামের নবীছদ্দীনের ছেলে সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলা খাতুন। ভিকটিম জরিনা খাতুন  সাইদুলের দ্বিতীয় স্ত্রী। সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিই পলাতক। মৃতুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের সুরনিশা ভিটার মাঠে আলামিনের মসুরির ক্ষেতে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় জরিনার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে একই সালের ৩১ জানুয়ারি জরিনা খাতুন নিখোঁজ হন। লাশ উদ্ধারের পর নিহত জরিনার বোন ফেরদৌসী খাতুন জরিনার লাশ শনাক্ত করেন। নিখোঁজের আগে সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলা খাতুনের সঙ্গে জরিনার ঝগড়া হয়েছিল বলে জানান ফেরদৌসী।

এ ঘটনায় ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জরিনা খাতুনের বোন ফেরদৌসি খাতুন বাদী হয়ে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মেহেরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলা খাতুনকে আটকের পর আদালতে নেওয়া হলে তারা ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন মেহেরপুর সদর থানার এসআই হাসান ইমাম মামলার প্রাথমিক তদন্ত কাজ শেষ করেন এবং নিহত জরিনার স্বামী সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলাকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকায় তিন জনকে চার্জশিট থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। মামলায় ১৪ জন সাক্ষী আদালতের তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামিদের জবানবন্দি, সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

মামলায় সরকার পক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষে নারগিস আরা আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।