মেয়র প্রার্থীসহ ১২ জনের নেই শিক্ষাগত যোগ্যতা, এগিয়ে নারীরা

দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৪ জন মেয়র প্রার্থী, ৩২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত আসনে ১৬ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামা সূত্রে দেখা গেছে, মেয়র পদে একজনসহ ১১ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর নিরক্ষর। তবে শিক্ষায় এগিয়ে নারী প্রার্থীরা।
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের মধ্যে সবচেয়ে শিক্ষিত আওয়ামী লীগের প্রার্থী আক্কাস আলী। তিনি মাস্টার্স পাস। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হুমায়ুন কবির স্নাতক পাস এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুজ্জামান সরকার এলএলবি (অনার্স পাস)।  
শিক্ষায় এগিয়ে নারী প্রার্থীরা। বিরামপুর নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে সংরক্ষিত ৩টি আসনে ১৬ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে মাত্র দু’জন প্রার্থী নিরক্ষর। যেখানে ৩২ জন পুরুষ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনই নিরক্ষর। এছাড়াও একজন মেয়র প্রার্থীসহ ২০ জন সাধারণ কাউন্সিল প্রার্থীর পেশা কৃষি, ১০ জনের ব্যবসা, একজনের শিক্ষকতা, একজনের কোনও পেশা নেই। মেয়র পদের অন্য তিন প্রার্থীর মধ্যে একজন আইনজীবি, একজন শিক্ষক একজন ব্যবসায়ী। নারী কাউন্সিলর পদের ১৬ প্রার্থীর মধ্যে ১৪ জনই গৃহিণী। একজনের পেশা কৃষি, আরেকজনের ব্যবসা। 
বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। তাই জাতিকে, দেশকে এগিয়ে নিতে জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষিত হওয়া অবশ্যই বাঞ্চনীয়। 
বিরামপুর নির্বাচন কর্মকর্তা সামছুল আযম জানান, আগামী ১৬ জানুয়ারি বিরামপুর পৌরসভার ভোট হবে। প্রসঙ্গত, বিরামপুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ১৬ জুন পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয় ২০০৬ সালের ২৪ জুন।