ধর্ষণের অভিযোগে ইমামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২

নওগাঁর রাণীনগরে এক বিধবাকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম, স্থানীয় মাতবরসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার (১০ জানুয়ারি) রাতে মামলার পর এ ঘটনায় ওই রাতেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, উপজেলার গহেলাপুর বড়িয়া গ্রামের মৃত শাহাদ আলীর ছেলে জাকারুল ইসলাম জাকির (৫০) একই উপজেলার একটি মসজিদে ইমামতি করেন। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক বিধবার (৪০) সঙ্গে পরিচয় হয় তার। প্রায় দুই বছর আগে জাকির বিয়ের প্রস্তাব দিলে ওই বিধবা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর গত বছরের ১০ নভেম্বর রাতে বিধবার বাড়িতে ঢুকে বিয়ের আশ্বাসে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনার চার দিন পর আবারও বাড়িতে গেলে বিধবা তাকে বিয়ের চাপ দেন। এ সময় বিয়ে করবে না জানিয়ে বিধবাকে মারপিট করে চলে যান জাকির। পরের দিন ঘটনাটি উপজেলার বড়গাছা বাজারে মাতবর জামালসহ কয়েকজনকে জানালে তারা চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি রাতে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিধবাকে ডেকে বড়গাছা বাজারে সালিশ বসিয়ে ইমাম জাকিরুলের এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। এরপর বিধবাকে কোনও টাকা না দিয়ে ঘটনা কাউকে না বলতে চাপ দেয় মাতবররা। এ ঘটনায় ওই বিধবা বাদী হয়ে গত রবিবার রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপার অভিযোগ এনে ইমাম জাকিরুল, মাতবর জামালসহ তিন জনকে এজাহার নামীয় এবং আরও তিন-চার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার শুখানদিঘী গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দীনের ছেলে মাতবর জামাল হোসেন (৪৬) ও বড়গাছা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে অফির উদ্দীনকে (৬০) গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি বলেন, ‘ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন বিধবা। এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’