ভাসানচরে নির্মিত হচ্ছে বিদেশি সংস্থায় কর্মরতদের জন্য ভবন

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পর এবার জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং বিদেশি এনজিওতে কর্মরতদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত চারতলা দুটি ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। অনুমোদন পাওয়ার পর খুব শিগগির এ দুটি ভবনের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কমডোর আবদুল্লাহ আল মামুন।

বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘বিদেশি সংস্থায় যারা কাজ করছেন, তাদের জন্য এখন আলাদা কোনও ভবন নেই। রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি করা ভবনগুলো থেকে কয়েকটিকে আলাদা করে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা যেন কক্সবাজারের মতো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ভাসানচরেও পান, সেজন্য আমরা ভাসানচরে দুটি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এ দুটি ভবন নির্মাণের জন্য প্রণীত প্রকল্পটি ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। আমরা খুব শিগগির এ দুটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করবো।’

এক প্রশ্নের জবাবে কমডোর আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এখনও ডিটেইল ডিজাইন করা হয়নি। তাই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।’ 

১৩ হাজার একরের এই ভাসানচরে ইতোমধ্যে সাড়ে ছয় হাজার একর ভূমি মানব বসবাসের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে এখানে। দু’দফায় যাওয়া প্রায় চার হাজার রোহিঙ্গার বসবাস এখন এই ভাসানচরে। তবে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় এখনও ভালোভাবে যুক্ত হয়নি বিদেশি সংস্থাগুলো। মানসম্মত আবাসস্থল না থাকায় তাদের অনেকে সেখানে যেতে রাজি ছিল না।