পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি খাল-রাস্তা দখলের অভিযোগ

পটুয়াখালীর কালাইয়া-দশমিনা উপজেলার ল্যাংড়া মুন্সির পুল এলাকায় একমাত্র খাল দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি নির্মাণে অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশ সার্জেন্ট নাঈমের বিরুদ্ধে। বিষয়টি স্থানীয়রা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে অবহিত করলেও অদৃশ্য কারণে তা বন্ধ হয়নি। 

জানা গেছে,  কালাইয়া দাশপাড়া খালের সংযোগকারী ব্রিজটির কোল ঘেঁষেই নির্মাণ করা হচ্ছে একাধিক দোকান ঘর ও ভবন। নির্মাণ কাজ যাতে বাহির থেকে দেখতে না পারে সেজন্য পলিথিন ও চট দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। কাজের তদারকি করছেন সার্জেন্টের স্ত্রী। খালের মধ্যে বেইজ কলম নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। ইতোমধ্যেই ভোগান্তিতে পড়েছে দশমিনা কালাইয়া  অঞ্চলের নৌ পথে মালামাল নেওয়া আনা করা ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়রা জানান, তার জমির চেয়ে বেশি অংশ খালের মধ্যে দখল করে নিয়ে কাজ করছেন। তিনি পুলিশে চাকরি করায় ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। 

দাসপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওই পুলিশ সদস্য শুধু খালই দখল করেননি, সরকারি রাস্তাও দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

এলজিইডি বাউফল উপ প্রকৌশলী আব্বাস উদ্দিন জানান, ওই পুলিশ কর্মকর্তার ভবনের একাধিক কলাম (খুটি) মূল সড়কের মধ্যে চলে আসছে। কালাইয়া থেকে দাশপাড়া হয়ে লোহালিয়া পর্যন্ত ১৮ ফুটের রাস্তার কাজ শুরু হলে তার ভবনের বেশকিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাকে রাস্তা রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে।

বরিশাল শহরে কর্মরত পুলিশ সার্জেন্ট নাঈম বলেন, ‘আমি কোনও সরকারি রাস্তা ও খাল দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছি না। আমার পৈত্রিক ভিটায় বাড়ি  নির্মাণ করছি।’  

এ প্রসঙ্গে বাউফলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিচুর রহমান বালি বলেন, ‘ওই পুলিশ সদস্য ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং দ্রুত সময়ে খালের মধ্যের গাইড ওয়াল ভেঙে ফেলবেন বলে জানিয়েছেন।’