কুয়াশায় আলু ও বীজতলায় রোগ সংক্রমণের শঙ্কা 

রাজশাহীতে অব্যাহত রয়েছে মৃদ্যু শৈতপ্রবাহ। দিনের কিছু সময়ের জন্য উঁকি দিচ্ছে সূর্য। অধিকাংশ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ। কয়েকদিন ধরে কুয়াশার এমন প্রকোপে জনজীবনে যেমন দুর্ভোগ বেড়েছে তেমনি কৃষি কাজে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে আলু ও বীজতলায় রোগ সংক্রমণের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

রাজশাহী কৃষি অফিসের তথ্য মতে, ঘন কুয়াশা হলে এবং দিনে রোদ না হলে আলুর আবাদ ও বীজ তলায় রোগ সংক্রমণ বেড়ে যায়। এ বিষয়ে আগে থেকেই তৎপর আছে কৃষি বিভাগ। এ বিষয়ে কৃষকদের আগে থেকেই সাবধান করা হয়েছে। 

আলু ক্ষেত
পবা উপজেলার কৃষক সাবিয়ার আলী জানান, এবার তিনি আড়াই বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার গাছ অনেক ভালোই ছিল। তবে কয়েকদিনের ঘন কুয়াশার কারণে কিছু গাছ কিছুটা নেতিয়ে পড়ছিল। তবে তিনি স্থানীয় ডিলারের পরামর্শে স্প্রে করছেন। এখন চারার ভালো আছে।

পবা উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়নের খাপারা এলাকার আলুচাষী সুইট জানান, এবার ১৪ বিঘা জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। আলু গাছে রোগবালাই কম দেখা দিয়েছে। তবে শনিবারের মতো কুয়াশা এক সপ্তাহ ধরে থাকলে আলু গাছে রোগবালায়ের আশঙ্কা আছে।  

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামছুল হক জানান, কয়েকদিন থেকে ভালোই কুয়াশা পড়ছে। দিনে রোদের দেখাও তেমন মিলছে না। এসময়টায় আলুর ‘নাভিধস’ দেখা যায়। তবে তারা এবার আগে থেকেই তৎপর রয়েছেন। এখন পর্যন্ত এরকম কোনও কিছু জানা যায়নি। তিনি প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখছেন। 

ঘন কুয়াশা
তিনি আরও জানান, কুয়াশায় আলু ও বীজতলার কিছু ক্ষতি করে। এখন বীজতলাতেও বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের এ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক রাজিব খান জানান, সামনে আবহাওয়া কেমন হবে তা বলা যাচ্ছে না। এ মৌসুমের সর্বোচ্চ কুয়াশা শনিবার দেখা গেছে। যেটা এখন কমবে। রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি আছে। এখন মূলত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। এজন্য রাজশাহীসহ আশপাশের অঞ্চলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।