রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে তাকে সাতক্ষীরা আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এরপর সাহেদকে আবারও সাতক্ষীরা কারাগারে নেওয়া হয়। আলোচিত এই অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলার সে একমাত্র আসামি।
এর আগে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) তাকে জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের আদালতে হাজির করলে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকী সময় প্রার্থনা করেন। এজন্য বৃহস্পতিবার ফের তাকে আদালতে হাজির করে অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির দিন ধার্য করা হয়। এরপর তাকে নেওয়া হয় সাতক্ষীরা কারাগারে।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জজ আদালতে তাকে হাজির করা হলে আদালত দুটি মামলায় তাকে আসামি করে অভিযোগ গঠন করেন। আদালতে কথা বলার সময় নানা ঘটনার অবতারণা করলে আদালতের সরকারি কৌঁসুলিদের আপত্তির মুখে তা থেকে বিরত হয় সাহেদ।
এদিকে, অভিযোগ গঠনে আপত্তি তুললেও আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকীর কথা আদালতে খারিজ হয়ে যায় এবং আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যের জন্য আদালত দিন ধার্য করেছেন বলে জানান পিপি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করে সাহেদ করিম। বোরখা পরিহিত সাহেদকে কোমরপুর বেইলি ব্রিজের নিচ থেকে র্যাব-৬-এর সদস্যরা আটক করেন। এ সময় সাহেদের কাছে থাকা একটি অবৈধ পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ২৩৩০ ভারতীয় রুপি, তিনটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় রাতে সাহেদ করিম ও জনৈক বাচ্চু মাঝিকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে প্রথমে দেবহাটা থানার ওসি উজ্জ্বল কুমার মৈত্র এবং দুই দিন পর র্যাবের এসআই রেজাউল করিম নিযুক্ত হয়ে আসমিকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই বছরের ২৪ আগস্ট বাচ্চু মাঝির হদিস না পেয়ে শুধু সাহেদকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় কয়েকটি দিন অতিবাহিত হওয়ার পর বুধবার তাকে অভিযোগ গঠনের জন্য আদালতে আনা হয় বলে পিপি জানান।