সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট

রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী নিধন এবং পাচার রোধে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সুন্দরবন বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে সুন্দরবনের বাঘ ও হরিণের চামড়াসহ বিপুল পরিমাণ হরিণের মাংস জব্দ করার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বন অধিদফতরের নির্দেশে সুন্দরবনজুড়ে রেড অ্যালার্ট কার্যকর করতে এই বন বিভাগের সব স্টেশন, ক্যাম্প ও ফাঁড়িকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ডিএফও বলেন, ‘সম্প্রতি সুন্দরবনে বাঘ ও হরিণসহ বন্যপ্রাণী নিধন এবং পাচার বেড়ে যাওয়ায় এই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দায়িত্ব পালনে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বনরক্ষীদের। এছাড়া বনের ভেতরে টহলও জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বনে ছোট ডিঙি নৌকা চলাচলের ওপরও সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সব ধরনের পাস-পারমিটও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বন বিভাগ। পাস-পারমিট নিয়ে যেসব জেলে-বাওয়ালীসহ বনজীবী বনের অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন, তাদের বেরিয়ে আসার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

গত ২০ জানুয়ারি বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে একটি বাঘের চামড়াসহ এক পাচারকারীকে আটক করে সুন্দরবন বিভাগ ও র‌্যাব-৮। এরপর গত ২২ জানুয়ারি আবারও শরণখোলা থেকে ১৯টি হরিণের চামড়াসহ দুই পাচারকারীকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ২৫ জানুয়ারি খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালী খেয়াঘাট এলাকা থেকে ১১ কেজি হরিণের মাংসসহ দুজনকে আটক করে পুলিশ। ৩১ জানুয়ারি মোংলার দিগরাজ এলাকা থেকে ৪৭ কেজি হরিণের মাংসসহ তিন জনকে কোস্টগার্ড এবং ২ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাটের রামপাল থেকে ৪২ কেজি হরিণের মাংসসহ পাচারকারীদের আটক করে ডিবি পুলিশ।