মদনে দু পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় দু পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নায়েকপুর ইউনিয়নের সিংহের বাজারের পাশে গৌরার হাওরে মাখনা ও বাউসা গ্রামবাসীর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ সময় আরিফ নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হলে তাকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সংঘর্ষে আহত বাউসা গ্রামের মোজাম্মেল ও রুবেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  এছাড়া আহত খসরু, সাইদুল, আবু সাহেদ, পায়েল, সবুজ, লুৎফুর রহমান, কেন্তু মিয়া, টিপুল, তাইজুল ইসলাম, মাখনা গ্রামের সজুত মিয়া, ইছহাক মিয়া, সাইকুল ইসলাম, সুহেল মিয়া, হেকিমকে মদন ও পাশের উপজেলা তাড়াইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাউসা গ্রামের গ্রামের মানিক মিয়া স্থানীয় জনতা বাজারের দুই শতাংশ ভূমি মাখনা গ্রামের ফৌজদার মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়। ফৌজদার মিয়া ক্রয় করা ভূমিতে দোকানঘর নির্মাণ করায় মঙ্গলবার মানিক মিয়ার টিনসেড, ফৌজদার মিয়া ও শান্তু মিয়ার নবনির্মিত আধা পাকা দোকানঘর ভেঙে ফেলে বাজার কমিটি ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় মাখনা গ্রামের ফৌজদার মিয়ার ছেলে সোহেল খান বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ২০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে বাজার কমিটির সভাপতি আজিজুল হকসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করেন। এরই জের ধরে বুধবার বিকালে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে আছি। সংঘর্ষে আমার এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’