পোশাক কারখানার আগুনে আহত ৪২, বার্ন ইউনিটে ১২ জন

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার দক্ষিণ ভাংনাহাটী এলাকায় ঢাকা গার্মেন্টস অ্যান্ড ওয়াশিং লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (৬ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকেরা জানায়, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেশ কয়েকবার লাইনে বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ১০টার দিকে কারখানার কেমিক্যালের গুদামে আগুন দেখতে পাওয়া যায়। শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হতে চাইলে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে গেট খুলতে অস্বীকৃতি জানান। এসময় পাশের ৫ তলা ভবনের কিছু শ্রমিক ও স্টাফ আগুন নেভাতে গেলে কেমিক্যালের গ্যাসের গন্ধে অনেকেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এক পর্যায়ে কর্তৃপক্ষ গেট খুলে দিতে বাধ্য হন।


এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ভাংনাহাটী গ্রামের নূরুল ইসলামের স্ত্রী খোদেজা বেগম (৭৫) বলেন, তার দুই নাতি।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কারখানার স্যাম্পল শাখার শ্রমিক আবু হানিফ বলেন, তিনি কেমিক্যালের গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে একজনকে সেখানে পড়ে যেতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে গ্যাসের গন্ধে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফিরে এলে নিজেকে হাসপাতালে দেখতে পান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গেট খুলে দেওয়ার পর আহত ও জ্ঞান হারানো শ্রমিকদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।


স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্মরত ডা. কে এম রাজমুল আহসান জানান, কারখানার কমপক্ষে ৪২ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে ১২ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে, ১০ জনকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ও ২০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মিয়া রাজ জানান, আগুনের খবর শোনে কারখানার কেমিক্যাল গুদামে আধাঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন লাগার সঠিক কারণ তাৎক্ষণিক নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। কোনও মরদেহ পাওয়া যায়নি।