‘বিবি-১১৪৮’ থেকে ৭ দিন পর কয়লা উত্তোলন শুরু

মোংলা বন্দরের পশুর নদে ডুবে যাওয়ার সাত দিন পর বিআইডব্লিউটিসির কার্গো জাহাজ ‘বিবি-১১৪৮’ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। রবিবার (৭ মার্চ) সকালে কয়লা উত্তোলন শুরু করে মোংলা স্যালভেজ এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি (স্থানীয় ডুবুরি দল)। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রায় ৭শ’ মে. টন কয়লা নিয়ে পশুর নদে তলা ফেটে ডুবে যায় সরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে চলা কার্গো জাহাজ এমভি বিবি-১১৪৮। এরপর থেকে গত সাত দিনেও উদ্ধার তৎপরতা শুরু করতে পারেনি কোনও পক্ষ।

স্থানীয় ডুবুরি দল প্রধান ও মোংলা স্যালভেজ এন্টারপ্রাইজ কোম্পানির মালিক মো. আব্দুল মান্নান জানান, ঢাকার ইস্টার্ন ক্যারিয়ারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সকাল থেকে তারা কয়লা উত্তোলন শুরু করেন। ১০ জনের একটি ডুবুরি দল এ কাজ শুরু করেন এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ থেকে সম্পূর্ণ কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে।

ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের মাস্টার ওসমান আলী জানান, সম্পূর্ণ কয়লা উত্তোলনের পর কার্গো জাহাজটিকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হবে। তিনি আরও জানান, মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ার ৭ নম্বর অ্যাংকরেজ থাকা বিদেশি জাহাজ এমভি জসকো থেকে গত শনিবার প্রায় ৭শ মে. টন কয়লা বোঝাই করে কার্গো জাহাজ এমভি বিবি-১১৪৮। এরপর শনিবার রাতে কার্গো জাহাজটি ওই বিদেশি জাহাজ থেকে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসে।  পথিমধ্যে রাত ১১টার দিকে মোংলার পশুর নদীর বানীশান্তা ও কানাইনগর এলাকায় পৌঁছালে তলা ফেটে কার্গোটি ডুবে যায়। এ সময় ওই জাহাজের মাস্টারসহ ১২ জন স্টাফ ও একজন নিরাপত্তাকর্মী সাঁতরে কূলে উঠে যায়।

এদিকে জাহাজটি উদ্ধার কাজ শুরু না হলেও ঘটনাস্থলে মার্কিংয়ের ব্যবস্থার কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে কার্গোটি পশুর চ্যানেলের মূল চ্যানেলের বাইরে ডুবেছে বলে নৌযান চলাচলে মূল চ্যানেল নিরাপদ রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখরউদ্দিন।