ছাত্রলীগ নেতা মিরু হত্যা: শ্রমিকলীগ নেতা জালালের স্বীকারোক্তি

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিরু হত্যা মামলার ২নং আসামি উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আঙ্গুরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে জালাল। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

পুলিশ এবং ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গত ১ মার্চ দিবাগত রাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বাড়িতে গানের অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিরু (২৭)। রাত ১টার দিকে উপজেলা সদরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। ২ মার্চ দুপুরে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় গত ৩ মার্চ নিহত ফারুক হোসেন মিরুর ভাই রিয়াজুল করিম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সিঙ্গাইর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মো. দুলাল এবং তার বড় ভাই উপজেলা পরিবহন শ্রমিক লীগের নেতা জালাল উদ্দিন ওরফে আঙ্গুরকে আসামি করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ফারুক হোসেন মিরু হত্যার অন্যতম আসামি জালাল উদ্দিন আঙ্গুরকে বুধবার রাতে ধামরাই উপজেলার ভুবননগর গ্রামের মনোয়ারের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।’