চেয়ারম্যানের ছেলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউপি নির্বাচনে আগাম প্রচার চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানাজ মোস্তফার বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার এম এ সালামের ছেলে ফখরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা সাইচাপাড়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ওই নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীর স্বামী ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফাসহ আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহত গোলাম মোস্তফাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। 

স্থানীয়রা জানান,  মঙ্গলবার দুপুরে গোলাম মোস্তফা সাইচাপাড়া গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। এসময় চেয়ারম্যানের ছেলে ফখরুল ও বিপ্লব, একই গ্রামের সুমন, জুয়েল, আলমগীর ও ইমরান দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। গোলাম মোস্তফা বাধা দিলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত হয় ছেলে, পুত্র বধূসহ আরও ৪ জন। এছাড়াও তার ব্যক্তিগত অফিস, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করা হয়। বাদ যায়নি বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র।

গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমার স্ত্রী শাহনাজ মোস্তফা চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় আমাদের পরিবারের ওপর আমার বড় ভাই ও একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ফখরুলসহ তার অনুসারীরা হত্যার পরিকল্পনা করে আসছে। এর আগেও তারা আমার ওপর হামলা চালায়।’ 

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ফখরুল তার লোকজন নিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আমরা বাড়ির দরজা লাগিয়ে অবস্থান করলে তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আমাকে কুপিয়ে জখম করে। এছাড়াও আমার ছেলে আল মামুন, পুত্রবধূ রোকেয়া ইসলাম এবং  ম্যানেজার ফারুক ও শামীমকেও মারধর করে।   

চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনাজ মোস্তফা বলেন, ‘আমি এলাকাবাসীর অনুরোধে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রচার শুরু  করলে বর্তমান চেয়ারম্যান আমার পরিবারের ওপর বিভিন্ন নির্যাতন শুরু করে। চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার ছেলে ফখরুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার স্বামীকে হত্যার চেষ্টা চালায়। ঘটনার সময় আমি ঢাকার বাসায় ছিলাম।’ 

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ারম্যানের ছেলের মোবাইলে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে চেয়ারম্যান সালাম বলেন,  ‘কারা মোস্তফার ওপর হামলা করেছে আমার জানা নেই। আমার ছেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়।’

দেবিদ্বার থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।