ফেনীতে বেড়েছে করোনা সংক্রমণের তীব্রতা

ফেনীতে প্রথম দফার তুলনায় দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণের তীব্রতা খুব বেশি বলে জানিয়েছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. এসএম মাসুদ রানা। তিনি জানান, দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ৬ এপ্রিল ফেনীতে সর্বোচ্চ ১০৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়। জেলায় একদিনে এটাই সর্বোচ্চ শনাক্ত।

একইদিন আব্দুল আজিজ (৮৬) নামে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। তিনি শহরের বাননী পাড়ার বাসিন্দা। বুধবার সকাল পর্যন্ত ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৫ জন ও প্রাইভেট হাসপাতালে ৬ জনসহ ১১ জন ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের ৩০ শয্যা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ফেনীর ২৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ১১০ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। শনাক্তকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১০ জন বিদেশগামী যাত্রী। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার প্রায় ৪৫ শতাংশ। তবে জেলায় করোনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাব না থাকার ফলে উপসর্গ পাঠানো হচ্ছে নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এতে চিকিৎসকদের রোগের ফলাফল জানতে সময় লাগছে অন্তত তিন-চার দিন। এতে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ইকবাল হোসেন।

ফেনীর ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন জানান, ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেনসহ ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত আছেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, এডিসি (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী ও একজন এসিল্যান্ড, একাধিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ অনেক সাধারণ মানুষ। তবু কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি, দিচ্ছে না গুরুত্ব। তবে প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু তাহের মিয়াজী জানান, জেলা সদর হাসপাতালের করোনা টিকা প্রদান করা হচ্ছে ৮টি বুথে। তবে অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করেও টিকা নিচ্ছে না।