কিশোরী গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার আদমদীঘিতে রুনা আকতার (১৭) নামে এক কিশোরী গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে নিজঘরের আড়ার সঙ্গে তার ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দিন জানান, প্রাথমিক তদন্তে এটিকে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, ট্রাক হেলপার সোহাগ হোসেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের তিয়রপাড়া গ্রামের সুজাউদ্দিনের ছেলে। সে প্রায় আট মাস আগে ফরিদপুরের নাগরকান্দা উপজেলার চৌসারা গ্রামের আবদুল গাফফার শেখের মেয়ে কিশোরী রুনা আকতারকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে রুনা ও সোহাগের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। শনিবার সন্ধ্যার দিকে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহাগ রুনাকে চড়-থাপ্পড় দেয়। কান্নাকাটি করে রুনা রাতে ঘরে ঘুমাতে যায়। রবিবার সকালে ঘরের ছাদের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে আদমদীঘি থানার পুলিশ রুনার লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

আদমদীঘির সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবদুল ওয়াদুদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহে ও অভিমানে কিশোরী গৃহবধূ রুনা আকতার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এটি আত্মহত্যা না হত্যা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।