মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টকে উত্ত্যক্ত ও মারধরের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

শেরপুরে জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত এক নারী ইন্টার্ন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আরেক ইন্টার্ন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক হাসপাতালের সামনের সড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন শতাধিক বিক্ষুব্ধ ইন্টার্ন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট। বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।

এদিকে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরাফাত (২৩) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আরাফাত শহরের নারায়ণপুর এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।

জানা যায়, রাজধানী ঢাকার একটি মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ওই মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। হাসপাতালে যাতায়াতের সময় শহরের নারায়ণপুর এলাকার আরাফাত নামে এক যুবক তাকে দীর্ঘদিন থেকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এর প্রতিবাদ করায় কিছুদিন আগে তার বন্ধু নাজমুল ইবনে হাফিজ শুভসহ কয়েকজনকে মারধরের হুমকি দেয় বখাটে আরাফাত। এরই জের ধরে বুধবার বেলা ১টার দিকে শুভকে হাসপাতাল থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে আরাফাত, হালিম ও রনিসহ কয়েকজন। পরে ভিকটিম ও শুভর শতাধিক সহপাঠী বিক্ষুব্ধ হয়ে জেলা সদর হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযান চালিয়ে উত্ত্যক্তকারী আরাফাতকে আটক করে।

শুভর বন্ধু ইন্টার্ন সাকিবুল হাসান, মিনহাজ উদ্দিন কিবরিয়াসহ কয়েকজন বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দা আরাফাত আমাদের বান্ধবীকে প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করে আসছিল। আমরা কয়েকজন এর প্রতিবাদ করায় জেলা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত অবস্থায় শুভকে ডেকে নিয়ে আরাফাতসহ তার বন্ধুরা পিটিয়ে আহত করেছে। এর আগেও আমরা সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলাম। তখন পুলিশকে জানানোও হয়েছিল, কিন্তু এর প্রতিকার মেলেনি। আমরা ওই বখাটেদের সুষ্ঠু বিচার চাই।’

জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. খাইরুল কবীর সুমন বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ পুলিশকে আগেও অবহিত করা হয়েছিল। এরপরও আজ স্থানীয় কিছু ছেলে হাসপাতালের এক ইন্টার্ন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টকে মারধর করেছে। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন।’

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এই ঘটনায় আরাফাত নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’